Blogs

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স কেনো করা উচিৎ এবং কিভাবে শুরু করবেন?
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো একটি আধুনিক প্রচার মাধ্যম। ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ইন্টারনেট, মোবাইল, ইমেইল, ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো পণ্য বা সেবা বা কোনো কোম্পানির ব্র্যান্ড প্রচার বা বিজ্ঞাপন দেয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে । অর্থাৎ এককথায় ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবা কে নির্দিষ্ট মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম সমূহ :
ডিজিটাল মার্কেটিং এ বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা পণ্য বা সেবা প্রচার করে থাকি তার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম নিচে দেয়া হলো :
১. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন :
২. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
৩. ইমেইল মার্কেটিং
৪. মোবাইল মার্কেটিং
৫. কনটেন্ট মার্কেটিং
৬. সিপিএ মার্কেটিং
৭. এফিলিয়েট মার্কেটিং
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি তা জানার আগে আমাদের জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিন কি? সার্চ ইঞ্জিন হল এমন এক ধনের সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা তথ্য সংগ্রহ করে রাখে পরবর্তীতে ব্যাবহার করার জন্য।
কোন ওয়েবসাইট বা পেজকে রাঙ্ক এ নিয়ে আসা এবং ওয়েবসাইট এ ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য যে প্রক্রিয়া অনুসরন করা হয় তাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে। অর্থাৎ আমাদের ওয়েবসাইট রাঙ্ক এ আনার জন্য আমাদের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন প্রয়োজন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি ?
বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করে কোন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রচার চালানকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম বলতে শুধু যে ফেসবুক বোঝায় তা নয় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম বলতে ফেসবুক , টুইটার,ইন্সটাগ্রাম , ইউটিউব ইত্যাদি বঝায়। এই সকল প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পণ্য সম্পর্কে সবাইকে জানাতে পারি।
ইমেইল মার্কেটিং কি?
ইমেইল মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর পুরনো কিন্তু কার্যকর একটি উপায়। যেকোনো ব্যবসার পণ্য প্রচার এর জন্য করা যেতে পারে। অর্থাৎ নিজের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ইমেইল এর মাধ্যমে জানানকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় ইমেইল মার্কেটিং বলে।
মোবাইল মার্কেটিং কি?
মোবাইল এ এসএমএস , এমএমএস নোটিফিকেশান, QR কোড ,এপ্স এর মাধ্যমে কোন পণ্যর বা সেবার প্রচার বা বিজ্ঞাপনকে বলা হয় মোবাইল মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যবহারকারির সংখ্যা অনেক বেশি তাই নিজের ব্যবসায়কে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে মোবাইল মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
কনটেন্ট মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হছে কনটেন্ট মার্কেটিং। কনটেন্ট বলতে আমরা মূলত লেখালেখি বুঝি। কনটেন্ট বা লেখালেখির মাধ্যমে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রচার করাকে কনটেন্ট মার্কেটিং বলে। কনটেন্ট মার্কেটিং ৪ ধরনের হয় যেমন অডিও, ভিডিও, টেক্সট , ইনফগ্রাফি।
সিপিএ মার্কেটিং কি?
CPA এর পূর্ণরূপ হল Cost per action।বিজ্ঞাপনদাতা যখন নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রচার করে থাকে তখন তাকে সিপিএ মার্কেটিং বলে । অর্থাৎ কোন কোম্পানি যদি নিজেদের কোন পণ্য বিজ্ঞাপনদাতা দের দ্বারা প্রচার করে তাহলে তাকে এর বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দিতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় একটি অংশ হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। আমরা আমাদের কোনো পণ্য যদি তৃতীয় কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তির দ্বারা বিক্রি করে থাকি এবং ঐ বিক্রির বিনিময়ে যদি তাকে কিছু পরিমান কমিশন দেয় তাহলে এই প্রক্রিয়া কে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো ?
বর্তমান যুগ হচ্ছে একটি আধুনিক ।বর্তমান যুগে ঘরে বসেই পৃথিবীর সব খবর পাওয়া যায়। আর এই আধুনিক যুগে প্রায় প্রতিটি মানুষ চায় নিজেকে এবং নিজের ব্যবসা কে গোটা বিশ্বর মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে , নিজের ব্যবসা কে সফল করতে , ব্যবসার বিক্রি বাড়াতে , পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে , নিজের কোম্পানির ব্র্যান্ড কে প্রচার করতে আর এই সকল কাজ আমরা করতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। তাই নিজের ব্যবসা , পণ্য বা সেবা , বা ব্র্যান্ড কে প্রচার করার জন্য ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্বতিতে অল্প খরচ এবং সময় ও খুব কম লাগে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং অবশ্যই প্রয়োজন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা :
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দর্শকদের আকর্ষিত করা । ডিজিটাল মার্কেটিং মূলমন্ত্র হলো আপনি দর্শকদের কতটা আকৃষ্ট করতে পারবেন, আপনার অ্যাডভার্টাইজিং যত ভালো হবে দর্শক তত আকৃষ্ট হবে। অর্থাৎ আপনি যত ভালো অ্যাড বা কনটেন্ট উপস্থাপন করতে পারবেন আপনার ব্যবসায় সফল হওয়ার সুযোগ তত বৃদ্ধি পাবে। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে আমরা খুব কম সময় এবং কম খরচে নিজেদের কনটেন্ট, বা অ্যাড বা পণ্য বা সেবা কে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারবো যেমন আমরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া তে আমাদের কোনো পণ্য সম্পর্কিত কোনো কনটেন্ট যদি পোস্ট করি তাহলে তা খুব কম সময়ে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।মানুষ এখন আর মার্কেট এ ঘুরে ঘুরে পণ্য কিনে না তারা কোনো পণ্য কেনার আগে অনলাইন থেকে তা সম্পর্কে জেনে নেয় এবং বেশির ভাগ মানুষ অনলাইন থেকে কেনা কাটা করে নেয় এতে তাদের সময় সাশ্রয় হয়। আর এই সবকিছুর পিছনেই রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
অর্থাৎ উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে বর্তমান বিশ্ব তে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা :
ডিজিটাল মার্কেটিং আর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকি। সুবিধা গুলো নিচে দেওয়া হলো :
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসায়কে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারবো।
- টিভি বা পেপার এ অ্যাড দিলে যে অর্থ খরচ হতো তার তুলনায় কম খরচ হবে।
- ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে প্রাপ্ত ফলাফল পরবর্তী স্টেপ নিতে সাহায্য করে।
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা অডিয়েন্স এর চাহিদা , পছন্দ , আগ্রহ , এক্টিভিটি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবো।
- ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে প্রাপ্ত তথ্য বেশ নির্ভরযোগ্য হয়।
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে স্বল্প খরচে নিজের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে অডিয়েন্স কে জন্য যায়।
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাস্টমার এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।
এছাড়াও আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে যা আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পেয়ে থাকি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ :
বর্তমান সময়ে অনলাইনে উপস্থিতির পরিমান অনেক বেশি। মানুষ তার অবসর সময় এর বেশির ভাগ সময় এ অনলাইনে থাকে আর মানুষ এর এই অনলাইন উপস্থিতির পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যার জন্য কোনো বিসনেস আইডিয়া , পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রচার করা খুব সহজ হয়ে গেছে আর এই প্রচার প্রসার করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রথাগত মার্কেটিং পদ্বতিতে খরচ খুব বেশি হয় যা ছোট উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে বহন করা সম্ভব হয় না এবং এখানে সময় ও খুব বেশি লাগে। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্বতিতে অল্প খরচ এবং সময় ও খুব কম লাগে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং অবশ্যই প্রয়োজন। যেহেতু মানুষ কম সময়ে এবং কম খরচে ব্যবসায় , ব্যবসায় বিক্রি বৃদ্ধি , প্রচার প্রসার , এবং ব্যবসায় থেকে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারছে তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলছে। আমরা যদি ২ বছর আগের কথা ভাবি তাহলে দেখা যাবে যে ২০২২ এর তুলনায় ২০২৪ এ প্রযুক্তি অনেক উপডেট হয়েছে যার কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর ও দিনদিন অনেক বেশি ভ্যালুএবল হয়ে যাচ্ছে আর সামনে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।